আজ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুকুরে ভাসছিল জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদকের মরদেহ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃকিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বাদল রহমানের (৬২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৯জুলাই রোববার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের চরশোলাকিয়া বেপারি বাড়ির পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে জেলা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার বেপারি বাড়ির পুকুরে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ ভাসতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। বাদল রহমান কিশোরগঞ্জে সকলের পরিচিত মুখ হওয়ায় তার মরদেহটি সনাক্ত করতে কারো কোন সমস্যা হয়নি।
বাদল রহমান নিকলী দামপাড়া ইউনিয়নের বিরুয়াইল গ্রামের মৃত মুখলেছুর রহমান খান বাদসা মিয়া ও রাবেয়া খাতুনের ছেলে। গত তিন বছর পুর্বে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরে গত ৩ মে ২য় বিয়ে করেন ঢাকায় বসবাসকারী আয়শা আহমেদ কে। খরমপট্টি রোখেয়া সড়কে তার নিজস্ব বাসা থাকলেও কিছুদিন যাবৎ বসবাস করতেন শোলাকিয়া নীলগঞ্জ মোড় একটি ভাড়া বাসায়।

বাদল রহমানের স্ত্রী আয়শা আহমেদ জানান, গতরাত ৮ টার দিকে বাসা থেকে বের হন তিনি, সর্বশেষ রাত ১১ টায় মোবাইলেও পাওয়া যায়নি, ভেবে নিলাম তার ছেলেদের বাসায় আছে, রাতে আর বাসায় ফেরেননি।
বাদল রহমানের ছেলে নাবিল বলেন, শনিবার রাত সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, ভালোভাবে পড়াশোনা ও ভালোভাবে চলাফেরা করিস। এটাই বাবার সাথে আমার শেষ কথা।

নিহতের বড় ভাই আতাউর রহমান খান মিলন জানান, বাদল রহমানকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, নিহতের মরদেহে প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক এই দুটি বিষয় মাথায় রেখে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

খবর পেয়ে এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, পৌরসভার মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)মো. আল আমিন হোসাইনসহ আরও অনেকেই।
আওয়ামীলীগ নেতা বাদল রহমানের মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category